অনলাইন ডেক্স:
শরীয়তপুরের জাজিরায় আজান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে খবির সরদার (৪৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি মাদবর কান্দি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত খবির সরদার ওই এলাকার মৃত ইউনূস সরদারের ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভোরে মসজিদের মাইকে আজান ও বয়ান করায় ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে আলমাস সরদার নামে এক ব্যক্তি ইমামকে হুমকি দেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর থেকেই আলমাস সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
মঙ্গলবার রাতে খবির সরদারকে বাড়ির সামনে পেয়ে আলমাস সরদার ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কবির আলম বলেন, খবির সরদারের বুকের ডানপাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এতে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি দানেশ সরদার বলেন, “আজান ও বয়ান নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আলমাস সরদার আগে ইমামকে হুমকি দিয়েছিল। এরপর থানায় জিডি করার পর থেকেই সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আজ সুযোগ বুঝে খবির সরদারকে খুন করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার বলেন, “আজান নিয়ে আপত্তি তুলে আওয়ামী সন্ত্রাসী আলমাস সরদার খবির সরদারকে হত্যা করেছে। তিনি আমাদের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।”
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, “খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে ইতোমধ্যেই অভিযান চলছে।”