অনলাইন ডেক্স:
ঢাকার আশুলিয়ায় সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ
হয়েছেন শ্রমিক দম্পতি। পরে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি
ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন, মিন্টু মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী ববিতা (৩০) কুড়িগ্রাম জেলার
উলিপুর থানার বাসিন্দা। তারা আশুলিয়ার রণস্থল বটতলা এলাকার নজরুল ইসলামের
বাড়িতে ভাড়ায় থেকে স্থানীয় ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন। বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মিন্টু ও ববিতা দুইজনে একই কারখানায় কাজ
করতেন। গতকাল রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরে মিন্টু ধুমপান করার জন্য বারান্দার
রান্না ঘরে যান। লাইটার জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরেও আগুন লাগে। ওইসময়
ববিতাও কাছাকাছি থাকায় তার শরীরেরও আগুন লাগে। সিলিন্ডারের পাইপ থেকে
গ্যাস বের হয়ে রান্না ঘরে জমা ছিলো। তবে কোনো বিষ্ফারণ হয়নি।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক
সার্জারি ইনিস্টিটিউটের চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর
আগে গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে আশুলিয়ার রণস্থল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বাড়ির মালিক নজরুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রশিদ জানান, রাত ৮টার দিকে
কারখানা ছুটি হলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাসায় আসে। পরে রান্নাঘরে চুলা
জ্বালাতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে
মিন্টু ও ববিতা দু'জনেই দগ্ধ হন। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের প্রথমে
বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা কেপিজে স্পেশালাইজড
হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আহত ববিতার চাচাতো ভাই শ্রী প্রেমানন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ববিতা ও
ভগ্নিপতি মিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভগ্নিপতির অবস্থা ভালো নয় বলে
জানিয়েছে চিকিৎসক। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, রোববার রাতে
দগ্ধ মিন্টু ও ববিতাকে জাতীয় আনা হয়। আগুনে মিন্টুর শরীরের ৬০ শতাংশ ও
ববিতার ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।