অনলাইন ডেক্স:
হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তার সাহাবিরা নিয়মিত ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেন। যে নামাজকে আমরা সুন্নাতে মুআক্কাদা বলে থাকি। প্রতিদিন ১২ রাকাত নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সা. বলেছেন, যে মানুষ প্রতি দিন ও রাতে বারো রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। (সহিহ মুসলিম: ৭২৮)। সাধারণ দিনগুলোতে কখন কীভাবে এই ১২ রাকাত নামাজ পড়তে হবে তার বর্ণনা দিয়ে নবি (সা.) বলেছেন, ৪ রাকাত জোহরের ফরজের আগে, ২ রাকাত জোহরের ফজরের পরে, ২ রাকাত মাগরিবের ফজরের পরে, ২ রাকাত ইশার ফরজের পরে আর ২ রাকাত ফজরের ফরজের আগে আদায় করতে হবে। কিন্তু শুক্রবার জুমার নামাজের ফরজ যেহেতু ২ রাকাত, ১২ রাকাত পূর্ণ করার জন্য জুমার সুন্নাতে মুআক্কাদা হবে মোট ৮ রাকাত; জুমার আগে ৪ রাকাত, পরে ৪ রাকাত। কেউ কেউ জুমার পরে সুন্নাত ৬ রাকাতও বলেছেন। তবে বেশিরভাগ আলেমের মত হলো, জুমার পর ৪ রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদা, আরও ২ রাকাত পড়া সুন্নাতে যায়েদা।
পবিত্র জুমার আগের ৪ রাকাত সুন্নাত সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত রয়েছে। আবু উবাইদ থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) জুমার আগে ৪ রাকাত আদায় করতেন। প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম জুমার আগে চার রাকাত সুন্নাত নামায পড়তেন। এছাড়া তাইহাত্যুল ওজুর ২ রাকাত নামাজ মসজিদে প্রবেশ করে অথবা ঘরে আদায় করে মসজিদে আসা উত্তম বলেছেন অনেক ইসলামি স্কলররা।