অনলাইন ডেক্স :
জেলা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বন্ধু জহিরুল ইসলামের ছুরিকাঘাতে বন্ধু শেখ রেদোয়ান শেখ (২২) নিহত হয়েছেন। তার অর্ধগলিত মরদেহ রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় বিল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধারের মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘাতক বন্ধু জহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ কয়েকটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জহিরুলের স্বীকারোক্তিতে নিহত রেদোয়ানের মোটরসাইকেল ও মানিব্যাগও উদ্ধার করে র্যাব।
- র্যাব আরও জানায়, বিগত দুই বছর ধরে রেদোয়ান ও জহিরুলের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল। গত ১৩ আগস্ট রেদোয়ান তার মোটরসাইকেলযোগে সদরপুর থেকে জহিরুলের বাড়িতে যান। সেখানে সমকামিতা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জহিরুল ছুরি দিয়ে রেদোয়ানের গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে মরদেহ লুকাতে প্রথমে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন জহিরুল। দুদিন পর মরদেহ ভেসে উঠলে পেট কেটে বালুর বস্তা বেঁধে নিকটবর্তী বিলে ফেলে দেন। তবে পুনরায় মরদেহ ভেসে উঠলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের চোখে পড়ে এবং পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, নিহত শেখ রেদোয়ান সদরপুর উপজেলার বাইশরশি গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শেখ আবুবক্কর সোহেলের ছেলে। তিনি গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের বি.এসসি শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৩ আগস্ট রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা রাবেয়া বেগম সদরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর ১৭ আগস্ট দুপুরে ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়নের চাড়ালদিয়া বিল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে পরিবার ও পিবিআইয়ের সহায়তায় মরদেহটি রেদোয়ানের বলে শনাক্ত করা হয়। নিহতের শরীরে গলা, হাত, পেট ও পা কাটা অবস্থায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। রাতে নিহতের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত হত্যা মামলা দায়ের করেন।