অনলাইন ডেক্স :
সরেজমিনে তথ্য আনতে গিয়ে হত্যার শিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন স্বজনরা। শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮টার সময় ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়। এ সময় আপনজনদের কান্নায় চারদিকের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে তুহিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। ওই সময় তার মরদেহ দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। স্বজনরা জানায়, গাজীপুর থেকে শুক্রবার বাড়িতে ফিরার কথা। কিন্তু একদিন পর ফিরলো বাবা মায়ের কাছর নিথর দেহে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে বাড়ির পাশে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে শায়িত করা হয়। এ সময় স্বজন-প্রতিবেশীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এর আগে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তুহিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। তাকে একনজর দেখতে শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। স্বজনরা বলছিলেন, গাজীপুর থেকে শুক্রবার বাড়িতে ফিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুপুরে খাবার খাওয়ার কথা ছিল তুহিনের। তিনি ঠিকই ফিরেছেন, তবে নিথর দেহে। বাদ মাগরিব সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, “এভাবে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তুহিনরা পাঁচ ভাই। প্রত্যকেই কাজের তাগিদে সিলেট ও গাজীপুরে থাকেন। তারা কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। তুহিন খুব ভাল ছেলে ছিল। নিয়মিত বাবা-মায়ের সেবা ও খোঁজখবর নিতেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।স্থানীয়রা জানান, তুহিন সাংবাদিকতা পেশায় অল্প সময়েই বেশ নাম-ডাক করেছিল। এখন তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে গেলেন। সরকার যদি সহায়তা করে, তাহলে তুহিনের পরিবার একটু বেচে থাকতে পারবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। শুক্রবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে দুপুরে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।